This is a news site covering Entertainment and,celebrity news.

Saturday, October 22, 2016

নাবালিকা ধর্ষণে গ্রেপ্তার সন্ন্যাসী



নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক সন্ন্যাসী৷ শুধু দিনের পর দিন ধর্ষণ নয়, নাবালিকা ছাত্রীটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে৷ একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বাঁকুড়া শাখার আশ্রমে কর্মরত ছিল ওই সন্ন্যাসী৷ আশ্রমটির গ্রন্থাগার দেখভাল করার দায়িত্ব ছিল তার৷ নবম শ্রেণির এক ছাত্রী সেই গ্রন্থাগারে প্রতিদিন পড়াশোনা করতে আসত৷ প্রথমে নানা প্রলোভন দেখিয়ে, পরে ব্ল্যাকমেইল করে ওই সন্ন্যাসীটি তাকে আশ্রমের মধ্যেই একটি ঘরে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ৷ ছাত্রীটির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করেছে৷ বাঁকুড়া জেলা আদালত তাকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে৷ তার কুকর্মের দায় নেয়নি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি।

সংস্থার বাঁকুড়া শাখার সম্পাদক স্বামী মুক্তিকামানন্দ বলেন,‘যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার সঙ্গে আমাদের আশ্রমের এখন আর কোনও সম্পর্ক নেই৷ তাকে ১৫ দিন আগে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়ণ করা হয়েছে৷ ফলে তার সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না৷’ কিন্ত্ত কেনও ওই সন্ন্যাসীকে বহিষ্কার করা হল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি থেকে, তার কোনও ব্যাখ্যা তিনি দেননি৷ অভিযুক্ত সন্ন্যাসীর নাম স্নেহাশিস মহারাজ৷ বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন,‘বৃহস্পতিবার রাতে আমরা ধর্ষণের অভিযোগ পাই৷ তারপরেই বর্ধমানের মেমারি থেকে স্নেহাশিস মহারাজ নামে ওই সন্ন্যাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে৷’ইতিমধ্যে লাগাতার ধর্ষণের জেরে নির্যাতিতা ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে৷

ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে তার শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ৷ ধর্ষণের পাশাপাশি সন্ন্যাসীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে ছাত্রীটির পরিবার৷ তার বাবা বলেন,‘আমরা বিধ্বস্ত৷ কথা বলার মতো অবস্থায় নেই আমরা৷ শুধু চাইছি, যেন ওই মহারাজের কঠিন সাজা হয়৷ একজন সন্ন্যাসী হয়ে তিনি যে কাজটি করলেন, তা কখনই মানা যায় না৷’তিনি জানিয়েছেন, ব্ল্যাকমেইল করার কুমতলব নিয়েই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ওই সন্ন্যাসী তার মোবাইলে তুলে রাখত৷ ছাত্রীটি তার পরিবারকে জানিয়েছে, ধর্ষণে আপত্তি জানালে ওই সন্ন্যাসী সেই ছবি মোবাইলে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত৷ ছাত্রীটি বাঁকুড়ার একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে৷

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটির আশ্রম বাঁকুড়ার যে পাড়ায়, সেখানকারই বাসিন্দা ছাত্রীটি৷ আশ্রমে গ্রন্থাগার থাকায় বিনা খরচে সে সেখানে নিয়মিত পড়াশোনা করতে যেত৷ সেই সূত্রেই সে ওই সন্ন্যাসীর খপ্পরে পড়ে বলে অভিযোগ৷ আশ্রমেরই একটি ঘরে সে নাবালিকাকে ধর্ষণ করত৷ দিনের পর দিন এমন নির্যাতনের জেরে ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ বুধবার তার অসুস্থতা পরিবারের নজরে পড়ে৷ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে নাবালিকাটি সব কথা তার মা-কে খুলে বলে৷ এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার এলাকার অনেকের মোবাইলে ছাত্রীটি ও ওই সন্ন্যাসীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তেক ছবি ছড়িয়ে পড়ে৷ এতে পরিবারটি ভেঙে পড়লেও এলাকার বাসিন্দারা তাদের পাশে দাঁড়ায়৷ বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়া সদর থানায় জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা৷


পরে রাতেই ছাত্রীটির পরিবার থানায় এফআইআর করেন৷ শুক্রবার সকালেই স্নেহাশিস মহারাজকে মেমারি থেকে গ্রেপ্তার করে আনে পুলিশ৷ তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও শিশুদের যৌন নিগ্রহের পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, দিনের পর দিন ওই সন্ন্যাসী আশ্রমের মধ্যে এমন কুকর্ম চালিয়ে গেলেও তা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নজরে এল না কেনও?
Share:

0 comments:

Post a Comment

pop e

juicy

PAGEVIEWS


Powered by Blogger.

Know Us

Contact Us

Name

Email *

Message *

Breaking News

Pages